নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার এই মন্তব্যের পর ডেনমার্ক সরকার গ্রিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেডে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেডে বলেন, "আসন্ন নির্বাচনে নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। কাদের সঙ্গে সহযোগিতা করব এবং আমাদের ব্যবসায়িক অংশীদার কারা হবে, তা আমরাই সিদ্ধান্ত নেব।"
২২ ডিসেম্বর ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে গ্রিনল্যান্ড কেনার ইচ্ছার কথা জানান। এটি নতুন কিছু নয়। ২০১৯ সালেও ট্রাম্প একই প্রস্তাব দেন, যা ডেনমার্কের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে। তবে ট্রাম্প একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নন, যিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন। ১৮৬০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসনের সময় এই ধারণা প্রথম উঠে আসে।
গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। দ্বীপটি কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত জলপথে অবস্থিত। এ দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রকল্পের বড় স্থাপনাগুলো রয়েছে এবং এখানে মূল্যবান খনিজের মজুত রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের প্রধান কারণ।